আইন কর্মকর্তাদের বক্তব্য প্রদানে নির্দেশনা
আমার মনে হয় তার নামফলক এখানে থাকতে পারে না।'
বাংলার জমিন ডেস্ক :
আপলোড সময় :
০৭-০৯-২০২৩ ০৫:৩২:১১ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০৭-০৯-২০২৩ ০৫:৩২:১১ অপরাহ্ন
ফাইল ছবি :
গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় সংক্রান্ত কোনো বক্তব্য দেওয়ার আগে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে পরামর্শ ও পূর্বানুমতি নিতে বলা হয়েছে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়া নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ‘কোনো বিবৃতিতে স্বাক্ষর করবেন না’ বলে গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এমন নির্দেশনা এসেছে।
অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, 'অধিদপ্তরের সকল আইন কর্মকর্তাকে অবগত করা যাচ্ছে যে, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অফিস সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে কোনো বক্তব্য প্রদানের আগে সবিনয়কে বিবৃতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। জনাব অ্যাটর্নি জেনারেলের পরামর্শ এবং পূর্বানুমতি সাপেক্ষে। হল.'
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়া গত সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, "রবিবার অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ইউনূসের বিরুদ্ধে পাল্টা বিবৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। যেখানে বলা হয়, ড. সোমবার বিকাল ৪টার মধ্যে স্বাক্ষর করতে হবে। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে সই না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি স্বাক্ষর করতে রাজি নই। আমি মনে করি ড. ইউনূসকে নিয়ে যেসব বক্তব্য ও পাল্টা বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে তার কোনো প্রয়োজন নেই। হয়রানি করা হয়েছে।এবং আমি মনে করি তার বিরুদ্ধে মামলাগুলো অন্যভাবে মোকাবেলা করা যেত।আমার কাছে মনে হয় তাকে চাপে রাখার জন্যই এটা করা হচ্ছে।তিনি শুধু বাংলাদেশের জন্যই সম্মান বয়ে আনেননি, তিনি সারা বিশ্বের সম্পদ। .
এদিকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, কিছু বলার আগে তিনি আমার সঙ্গে কথা বলতে পারতেন। তিনি কাউকে খুশি করতে এবং অন্য কোন উদ্দেশ্যে নয়। অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ইউনূস ইস্যুতে তিনি বক্তব্যের বিষয়টি তুলে ধরেন।
অন্যদিকে মঙ্গলবার ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়ার কক্ষের সামনের নামফলক অপসারণ করা হয়। আরেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম ফজলুল হক নামফলক অপসারণের দাবি করে সাংবাদিকদের বলেন, "ইমরান আহমেদ ভূঁইয়া রাষ্ট্রের আইন কর্মকর্তা হিসেবে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তাই একজন মুক্তিযোদ্ধা ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আমি তার নামফলক অপসারণ করেছি। আমার মনে হয় তার নামফলক এখানে থাকতে পারে না।'
সম্প্রতি বারাক ওবামা ও হিলারি ক্লিনটনসহ বিশ্বের ১৬০ জন সুপরিচিত ব্যক্তি ও নেতা অধ্যাপক ইউনূসের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি খোলা চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে শতাধিক নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার বিচার স্থগিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এছাড়াও ওই চিঠিতে গত দুই নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে সংকটের কথা উল্লেখ করে আগামী নির্বাচনের দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এ চিঠির প্রতিবাদে গত কয়েকদিনে দেশের বিশিষ্ট নাগরিক, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবীসহ ৫০ জন সম্পাদক পাল্টা বক্তব্য দিয়েছেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Jamin
কমেন্ট বক্স